প্রকাশিত: Sun, Jul 2, 2023 11:16 AM
আপডেট: Mon, Jun 30, 2025 1:26 AM

[১]টেকসই উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ উদাহরণ: জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল

মাজহারুল মিচেল: [২] শনিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ‘রোড টু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস সামিট ২০২৩’ এর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আমিনা জে মোহাম্মেদ।

[৩] তিনি এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে সকল দেশকেই আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।

[৪] তিনি বলেন, আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বেশ ভালো। কয়েক বছর ধরে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। প্রবৃদ্ধিই হলো দারিদ্র্য বিমোচনের বড় হাতিয়ার। 

[৫] তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি নেওয়ার সময় নারী-পুরুষ, শহর-গ্রামের বৈষম্য দূর করাকে গুরুত্ব দিতে হবে। এসডিজিতে দেশের অগ্রাধিকার কোনগুলো, সেগুলোকে বিবেচনা আনতে হবে।

[৬] অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে অনেক বাধা রয়েছে। এসব বাধা অতিক্রম করতে হলে মানুষকেই সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। আর এজন্য দরকার মানুষের ক্ষমতায়ন।

[৭] ড. মোমেন বলেন, মানুষকে যদি ক্ষমতায়ন করতে হয় তাহলে কয়েকটি বিষয় অঙ্গাঙ্গী জড়িত। এগুলো হচ্ছে দারিদ্র দূরীকরণ, গুণগত প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি শিক্ষা এবং যারা অবহেলিত ও বৈষম্যের শিকার- তাদের অন্তর্ভূক্তিকরণ। 

[৮] তিনি জানান, এসব বিষয়ে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

[৯] তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ বছরেই আমরা স্বল্পোন্নত দেশের পরিচিতি ছাড়িয়ে এলডিসির (লোয়ার ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রি) সূচক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি। বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের লক্ষ্য অর্জনে কাজ শুরু করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য বর্তমান সরকার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) বাস্তবায়নের টার্গেট নির্ধারণ করেছে। 

[১০] মোমেন বলেন, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনের নেপথ্য শক্তি আমাদের যুব ও তরুণ প্রজন্ম। উন্নয়ন আন্দোলনের এ কর্মযজ্ঞে যুব সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার জন্য বর্তমান সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব